ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান? ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। এটি নির্ভর করে দেশভেদে নিয়ম ও শর্তের ওপর। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে কাজের অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রয়োজন।
ইউরোপে কাজের সুযোগ খুঁজছেন? ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগ, ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আবেদন প্রক্রিয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানতে আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন। সঠিক তথ্য ও নির্ভরযোগ্য পরামর্শের মাধ্যমে আপনার ইউরোপে কাজের স্বপ্ন পূরণ করুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫। ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া এখন আগের চেয়ে সহজ। ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রচুর কর্মীর চাহিদা তৈরি হবে। তাই, এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনিও ইউরোপে কাজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে, প্রথমে আপনার পছন্দের দেশে কাজের সন্ধান করতে হবে। অনেক ওয়েবসাইট এবং এজেন্সি রয়েছে, যারা ইউরোপে চাকরির সুযোগ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটে সরাসরি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে মেলে এমন কাজ খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া ভালো। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইন বা অফলাইনে সম্পন্ন করা যায়। আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কীভাবে পাবেন?
ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে, ইউরোপের যে দেশে আপনি কাজ করতে চান, সেই দেশের চাকরির সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইডে খুঁজুন। সাধারণত, একজন নিয়োগকর্তা আপনাকে কাজের অফার দিলে, তারা আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট প্রসেস শুরু করতে পারে। এরপর, প্রয়োজনীয় নথিপত্র যেমন পাসপোর্ট, চাকরির চুক্তিপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ওয়ার্ক পারমিট আবেদন ফর্ম সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কাজের চাহিদার ওপর। অনেক দেশ দক্ষ কর্মীদের জন্য ব্লু কার্ড বা স্পন্সরড ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে, যা দীর্ঘমেয়াদে বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া, আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হলে নিয়োগকর্তার সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন গৃহীত হলে, আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হতে পারে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। সফলভাবে অনুমোদিত হলে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইউরোপের দেশটিতে কাজ করার অনুমতি পাবেন।
ওয়ার্ক পারমিট আবেদন প্রক্রিয়া
ইউরোপে কাজের জন্য পারমিট আবেদন প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বিদেশি কর্মীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কাজের অনুমতি লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে। প্রথমত, আপনাকে সঠিক দেশের মাইগ্রেশন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া রয়েছে, তবে সাধারণত কাজের অফার, ভিসা আবেদন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। আবেদনকারীদের বৈধ পেশাদার যোগ্যতা, ভাষার দক্ষতা, এবং অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে হয়।
একবার আবেদন জমা দিলে, প্রক্রিয়া অনেক সময় গ্রহণ করতে পারে। তবে, সঠিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার মাধ্যমে এটি দ্রুত হতে পারে। ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারী ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, অনেক সময় আবেদনকারীদের একটি ইন্টারভিউ বা অতিরিক্ত প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে সঠিক প্রস্তুতি আপনাকে সফলভাবে ইউরোপে কাজের অনুমতি অর্জন করতে সাহায্য করবে।
যোগ্যতা ও শর্তাবলী
ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্তাবলী মেনে চলতে হয়। সাধারণত, আবেদনকারীর একটি বৈধ চাকরির অফার থাকতে হবে, যা ইউরোপীয় নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রদান করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং ভাষার দক্ষতা থাকতে হয়। যেমন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডসসহ বেশ কয়েকটি দেশে ব্লু কার্ড স্কিম রয়েছে, যা উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক। এছাড়া, আবেদনকারীকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র প্রদান করতে হতে পারে। এছাড়া ও
ওয়ার্ক পারমিটের শর্তাবলী দেশের ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, আবেদনকারীর কর্মসংস্থানের চুক্তি ও বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট ন্যূনতম সীমার মধ্যে থাকতে হয়। কিছু দেশে স্পন্সর কোম্পানির প্রয়োজন হয়, যারা আবেদনকারীর পক্ষে দায়িত্ব নেবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আগতদের জন্য অনেক দেশে শ্রম বাজার পরীক্ষা করা হয়, যাতে স্থানীয় কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সঠিক নথিপত্র ও যোগ্যতা থাকলে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে।
জনপ্রিয় ইউরোপীয় দেশসমূহ
ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট অনেক বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের কর্মীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ। বিশেষ করে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে কাজের সুযোগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব দেশে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসার নীতি সহজ করা হয়েছে, যার ফলে ইউরোপে কাজের স্বপ্ন পূরণ করা আরও সহজ হয়েছে। যারা ইউরোপে স্থায়ীভাবে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ। জনপ্রিয় ইউরোপীয় দেশসমূহের ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন,
প্রার্থীকে প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে এবং অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ ইংরেজি ভাষার দক্ষতা চায়, আবার কিছু দেশে স্থানীয় ভাষার জ্ঞান আবশ্যক। বিশেষ করে, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির মতো দেশে ভাষা জানলে চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়। এছাড়া, সঠিক নথিপত্র, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ হতে পারে, যা অনেকের জন্য একটি স্বপ্নপূরণের দারুণ সুযোগ।
কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে কাজ করতে হলে ওয়ার্ক পারমিট অপরিহার্য। প্রতিটি দেশের অভিবাসন নীতির ভিত্তিতে ওয়ার্ক পারমিটের ধরণ ও শর্ত ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, পাসপোর্ট, চাকরির চুক্তিপত্র, স্পন্সর লেটার, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং মেডিকেল রিপোর্ট অন্যতম প্রধান ডকুমেন্ট হিসেবে চাওয়া হয়। এছাড়াও, আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নির্ভুলভাবে কাগজপত্র প্রস্তুত করা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইন মেনে আবেদন করাই ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার প্রধান শর্ত। প্রতিটি দেশ আলাদা প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানই স্পন্সর করে থাকে। বৈধ চুক্তিপত্র, আর্থিক স্থিতিশীলতা, প্রয়োজনীয় স্কিল এবং ক্লিয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। নির্ভুল এবং আপডেটেড তথ্যসহ আবেদন করলে ভিসা অনুমোদনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ভিসার ফি ও অন্যান্য খরচ
ইউরোপে কাজ করতে হলে ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিতে হয়। সাধারণত, ইউরোপিয়ান দেশভেদে এই খরচের পরিমাণ ভিন্ন হয়। এখানে কিছু সাধারণ খরচ ও ভিসার ফি উল্লেখ করা হলো:
১. ভিসার আবেদন ফি: এই ফি দেশ ও ভিসার প্রকারভেদে ভিন্ন হয়। সাধারণত, স্বল্পমেয়াদী ভিসার জন্য ফি তুলনামূলকভাবে কম এবং দীর্ঘমেয়াদী বা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য বেশি হয়।
২. স্বাস্থ্য বীমা: ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রবেশের জন্য স্বাস্থ্য বীমা বাধ্যতামূলক। বীমার খরচ আপনার বয়স, বীমার পরিধি এবং আপনি কতদিনের জন্য ভ্রমণ করছেন তার উপর নির্ভর করে।
৩. ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা: কিছু দেশে কাজের ভিসা পেতে হলে ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষার খরচ দেশ ও পরীক্ষার প্রকারভেদে ভিন্ন হয়।
৪. অন্যান্য খরচ: এর মধ্যে রয়েছে বিমানের টিকেট, আবাসন, খাবার এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ।
৫. ওয়ার্ক পারমিটের জন্য অতিরিক্ত খরচ: ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে, আবেদনকারীকে কিছু অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোম্পানির স্পন্সরশিপ ফি, আইনি পরামর্শ ফি এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ।
৬. ভিসা প্রসেসিং ফি: ভিসা প্রসেসিং ফি ভিসার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।
৭. ভ্রমণ বীমা: ইউরোপে ভ্রমণ করার জন্য ভ্রমণ বীমা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুর্ঘটনা, অসুস্থতা এবং অন্যান্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
৮. আবাসন খরচ: ইউরোপের বিভিন্ন শহরে আবাসনের খরচ ভিন্ন হয়। সাধারণত, বড় শহরগুলোতে আবাসনের খরচ বেশি এবং ছোট শহরগুলোতে কম।
৯. জীবনযাত্রার খরচ: ইউরোপে জীবনযাত্রার খরচ দেশ ও শহর ভেদে ভিন্ন হয়। কিছু দেশে জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং কিছু দেশে বেশি।
সহজে ওয়ার্ক ভিসা কোথায়?
ইউরোপে কাজের সুযোগ পাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সব দেশেই সমানভাবে এটি পাওয়া যায় না। সাধারণত, যেসব দেশে শ্রমশক্তির চাহিদা বেশি, সেগুলোতে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ। বর্তমানে পোল্যান্ড, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, মাল্টা, ও লাটভিয়া ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সহজে ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করছে। এই দেশগুলোর সরকার দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় শ্রমিকের জন্য সুযোগ দিচ্ছে।
বিশেষ করে নির্মাণ, কৃষি, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, লজিস্টিক, ওয়্যারহাউস এবং স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কম খরচে ও দ্রুত ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য এই দেশগুলো একটি আদর্শ গন্তব্য হতে পারে।যারা ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহজে পেতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল বৈধ রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা। ঠিকঠাক ডকুমেন্টেশন ও নির্ভুল আবেদন প্রক্রিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
কিছু দেশ যেমন পর্তুগাল এবং মাল্টা, দীর্ঘমেয়াদী রেসিডেন্স পারমিট ও নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগও দেয়, যা অভিবাসীদের জন্য আরও আকর্ষণীয়। এছাড়া, কিছু দেশ নির্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই জব সিকিং ভিসা বা সরাসরি স্পন্সরশিপ ভিসা দেওয়ার সুবিধা প্রদান করে। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি থাকলে ইউরোপের সহজ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সম্ভব, যা আপনার ক্যারিয়ারকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারে।
প্রতারণা ও সতর্কতা
বিগত কয়েক বছরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রতারণা হচ্ছে। অনেকেই লোভী দালালের খপ্পরে পড়ে ভুয়া ডকুমেন্ট ও নকল ভিসা নিয়ে অর্থ ও সময় ব্যয় করে। ফলে কাজ না পেয়ে বহু শ্রমিক নিষ্ঠুর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এমনকি কিছু প্রতারক চক্র চাকরির আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হলে, যথাযথ তথ্য সংগ্রহ ও সতর্কতার সাথে প্রতিটি ধাপ পার করতে হবে।
প্রথমত, EU-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্বীকৃত সরকারি মাধ্যম থেকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন। কোনো দালালের প্রলোভনে পড়ে ভুয়া এজেন্সিতে আবেদন করবেন না। দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও যাচাইয়ের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। তৃতীয়ত, সামাজিক মাধ্যম বা বিজ্ঞাপনগুলোতে প্রতারণার বিপদ নিয়ে সতর্ক থাকুন এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ হলে তা জানান। এতে আপনি নিজেকে ও অন্যদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
টিপস ও গাইডলাইন
ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান, তা নির্ধারণ করুন। এরপর, সেই দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন - পাসপোর্ট, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কাজের অভিজ্ঞতা, ভাষা দক্ষতার প্রমাণ ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। অনলাইনে ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করার সময় সতর্ক থাকুন। কোনো ভুল তথ্য দিলে ভিসা বাতিল হতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজের সুযোগের জন্য অনলাইন জব পোর্টালগুলোতে নিয়মিত খোঁজ রাখুন। এবং
ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) ব্লু কার্ডের মতো স্কিমগুলো সম্পর্কে জানুন। এই স্কিমগুলো উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট থেকে ভিসার সর্বশেষ নিয়মকানুন জেনে নিন। প্রয়োজনে ভিসা পরামর্শকের সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন, ধৈর্য ও সঠিক প্রস্তুতির মাধ্যমে ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সম্ভব। তাই, হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে যান।
পরিশেষে আমার মতামত
প্রিয় পাঠক, আমরা এখানে ইউরোপে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে এবং ইউরোপে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন। এই বিষয়ে যদি আপনার আরও কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার এবং সেই অনুযায়ী আরও বিস্তারিত আলোচনা করার।
তথ্যটি উপকারী মনে হলে আপনার পরিচিত, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করুন, যাতে তারা সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে। নিয়মিত এই ধরনের টিপস এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকের জন্য এতটুকু, ভালো থাকবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া রাখবেন। শুভকামনা রইলো আপনার নতুন ক্যারিয়ারের জন্য! কথা হবে অন্য কোন নতুন টপিকে।
আপনার মতামত জানালে পরবর্তী পোস্টে আরও নতুন তথ্য শেয়ার করা হবে!
(আল্লাহ হাফেজ)
ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url